সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২১ অপরাহ্ন
এইচ,এম হেলাল॥ প্রতিদ্বনিদ্বতার মুখে পড়ে রুজিতে টান পড়েছিলো আগেই। করোনা রুখতে ‘ লকডাউন’ শুরু হওয়ার পর থেকে রোজগার একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পেট চালানো মুশকিল হয়ে উঠেছে, অভিযোগ রিকশা চালকদের। সপ্তাহ তিনেকের বেশি সময় উপার্জন না থাকায় দু’বেলার খাবার জোটানোই দায় হয়ে উঠেছে, জানান তাঁদের অনেকে।
একটি সুত্র বলছে, রিকশা চালকদের জন্য বরিশাল নগরীর বাসদ নেত্রী ডা. মনীষা রেশনের ব্যবস্থা করেছেন। করোনা মোকাবিলায় বন্ধ রাখা হয়েছে সব রকম গণ পরিবহণ ব্যবস্থা। সেই আওতায় পড়েছে রিকশাও।
নগরীর হাসপাতাল রোড ও ভাটিখানা এলাকার রিকশা চালকেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে একচিলতে ঘরের সামনেই দাঁড় করিয়ে রাখা আছে রিকশা। সংক্রমণের আশঙ্কা সত্ত্বেও কেউ-কেউ রাস্তায় বেরোতে চেয়েছেন। কিন্তু পুলিশের ভয়ে বেরোতে পারেননি। তাঁদের আশঙ্কা, দীর্ঘদিন এক ভাবে পড়ে থাকলে রিকশার যন্ত্রাংশও খারাপ হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ‘লকডাউন’ ওঠার পরে, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বাড়ার চিন্তায় রয়েছে।
বছর নয় আগেও নগরীতে নানা প্রান্তের চলাচলের জন্য বাসিন্দাদের ভরসা ছিল রিকশা। পরে মাহিন্দ্র আলফা,গ্যাসচালিত গাড়ি চালু হয়। রিকশা চালকদের দাবি, তাতে তাঁদের রুজিতে টান পড়েছে । যথেষ্ট যাত্রী না মিলতে থাকায় অনেকে অন্য পেশায় চলে যান।
সূত্রে মতে জানা যায়, এখন নগর জুড়ে প্রায় ৫০০টি রিকশা চলাচল করে। নগরীর জিয়া সড়ক এলাকার রিকশা চালক রহিম , মোস্তফার কথায়, ‘‘রাস্তায় বেরোলে এমনিতেই আমরা আর আগের মতো যাত্রী পাই না। সকাল থেকে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দিনের শেষে শ’তেক খানেক টাকা রোজগার হয়। ‘লকডাউন’-এ আমরা ঘরবন্দি হয়ে রয়েছি। রেশনের চাল ও আটায় কোনও রকমে দিন কাটছে।
পরিচিতদের কাছ থেকে ধার করে আনাজ, তেল, নুন কিনছি। রিকশা চালকদের অনেকেরই প্রশ্ন, এ ভাবে আর কত দিন চলবে? করোনায় আক্রান্ত না হলেও হয়তো অনাহারে মরতে হবে, দাবি করছেন তাঁরা। রহিমের দাবি, সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য না মিললে তাঁদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল হবে।
বাসদ নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবতী খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন। পাশাপাশি নগরীতে অসহায় মানুদের জন্য একটি বাজার করার স্থান তৈরি করে দিয়েছেন। একাধীক রিকশা চালক বলেন,‘‘খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছি। রিকশাগুলি পড়ে থেকে নষ্ট হতে বসেছে।
রিকশা চালক রহিম আরো বলেন, বিসিসির পক্ষ থেকে সরকারি সাহায্যের খাদ্যসামগ্রী দেয়ার ব্যবস্থা হলেও যে যার পরিচিত মুখ দেখে দিচ্ছেন তাদের সাহায্য।
এ বিষয় বাসদ নেত্রী ডা. মনীষা মনিষা চক্রবর্তী বলেন, রিকশা চালকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করার জন্য তাদের কাছ থেকে ফোন নাম্বর গাড়ির ফটোকপি করা কাগজ হতে নিয়ে তাদের রেশনের স্লিপ দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু সাহায্যের জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে আশ্বাস তাঁর।
Leave a Reply